শাহরিয়ার মাহমুদ রিয়াদ স্টাফ রিপোর্টার।
ছোট্ট পলিব্যাগ।কিংবা ক্ষুদ্র স্ট্র। একবারই ব্যবহারযোগ্য। এমনসব প্লাস্টিক উপকরণ ব্যবহারও হয় স্বল্প সময়ের জন্য। প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে।কিন্তু এসবের দূষণটা মারাত্মক ক্ষতিকর।ক্ষতির প্রভাবটাও দীর্ঘস্থায়ী।সর্বত্রই ঘটছে দূষণ। মাটি, পানি, বায়ু। বাদ যাচ্ছে না কোনোটাই।এতে ক্রমে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ঝুঁকিতে পড়েছে মানব জীবন। অস্তিত্বের হুমকিতে পৃথিবীর সকল প্রাণবৈচিত্র্য।
তবে ক্ষতিকর দূষণ থেকে বাঁচার উপায়টা কঠিন নয়।সহজ হাতের কাছেই রয়েছে বিকল্প।প্রয়োজন কেবল সদিচ্ছার। ক্ষতিকর প্লাস্টিক পণ্য বর্জন।এর পরিবর্তে নিরাপদ ও দ্রুত পচনশীল কাগজ, কাঠ, বাকল, পাতায় তৈরি পণ্যের ব্যবহার।এতেই সমাধান। এর মাধ্যমে আমরা গড়তে পারি নিরাপদ পরিবেশ।নিরাপদ বসতি।
এমন সব উচিত কথা। কিংবা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। অথবা সত্যকথন।ছড়িয়ে দিলো সচেতনতার আলো।সাবলীল উপস্থাপনায় মন্ত্রমুগ্ধের মতো আত্মস্থ করলো শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা)র আয়োজনে ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিবেশ বিষয়ক এমন সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৪শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার দুপুরে চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নে ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন রত্নগর্ভা আয়েশা-গোলাম শরীফ গণগ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে তা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে পরিবেশের জন্য পলিথিনের নানা ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে এর ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি বিকল্প উপকরণ ব্যবহারে সচেতনতা তৈরিতে আলোচনা, প্রেজেন্টেশন, ভিডিওচিত্র প্রদর্শন, অভিজ্ঞতা বিনিময়, গল্পবলাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বেলা এ আয়োজন করে।
ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন কাদের অদুলের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার রতন বিশ্বাস।সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন বেলার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর মনিরা পারভিন রুবা।
ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু জুনাইদ, শেফায়েত হোছাইন, তাসমিন আক্তার, তাহিয়া জন্নাত ও কিরণ জন্নাত আয়াত এই অনুষ্ঠানের কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করে।