সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগে একসময় ৩০ আসন ছিল, পরে এটা আমরা বৃদ্ধি করে ৪৫ করেছিলাম এবং পরবর্তী লাস্ট সংশোধনের মধ্যে এটা ৫০ আসন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন পদ্ধতিটা হচ্ছে আনুপাতিক হারে যাদের যত সদস্য আছে, সেই অনুপাতে সেটা নির্ধারিত হয়। পরে আমরা আরো ৫০ টা আসন বৃদ্ধির প্রস্তাব করলাম আমাদের দলের পক্ষ থেকে। প্রায় সব দলের এটা একই রকম প্রস্তাব ছিল, কিছু কিছু দল বাদে এবং কিছু কিছু দল এমনও প্রস্তাব করেছে যে ১০০ তারা মানে, যদি প্রপোরশনেট হয়। কিন্তু অধিকাংশ দল এটা প্রস্তাব করেছে যে নারীদের আসন ৫০ থেকে ১০০ তে উন্নীত হলে ভালো হয়। তো সেই জায়গাতেই এখন ঐক্য কমিশনের প্রস্তাবটা আছে। তবে সেটা নির্বাচন পদ্ধতি কী হবে এ বিষয়ে কোন ঐক্য এখনো হয় নাই। সেটা পরবর্তীতে আরো আলোচনার জন্য দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমরা যেটা প্রস্তাব করেছি সরাসরি নির্বাচনের জন্য যে পদ্ধতিগুলো ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি অথবা সরাসরি নির্বাচন পদ্ধতি; যেগুলো আলোচনায় এসেছে, সেটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারে সংসদীয় কালচারে এখনো পর্যন্ত সেটা ফিজিবল বলে আমাদের মনে হয়নি। সেজন্য আমরা বলেছি, এটা আরো প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে হয়তো আরো এক-দুইটা পার্লামেন্ট চলার মধ্য দিয়ে সেটা এমন একটা অবস্থায় যাবে যাতে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা তখন করা যাবে।’
নারীদের সংরক্ষিত আসন থাকার যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘স্পেশালি এবলড অথবা ফিজিক্যালি ডিজেবলড যারা, তাদের জন্য এই বিধানটা কার্যকর করা যায় কিনা সেটাও সংবিধানে আসতে হবে। তো সেই হিসাবে নারী, শিশু এবং স্পেশালি এবলড যারা শ্রেণী পিছিয়ে পড়া শ্রেণী, তাদের জন্য যে বিশেষ বিধান করা যায়, সেই হিসাবেও আমরা মনে করি আমাদের বাংলাদেশের নারী সমাজ এখনো পর্যন্ত সেইটুকুন অগ্রগতি হয়নি। বিধায় তাদেরকে আরো বেশি এগিয়ে নিয়ে আনার জন্য এই বিশেষ বিধান থাকা উচিত। এবং সমাজ একটা জায়গায় পৌঁছলে আমাদের বিকাশ বিবর্তন যদি আরো ভবিষ্যতে একটা উন্নীত পর্যায়ে পৌঁছে, তখন আর হয়তো এই বিশেষ বিধানগুলো রাখার প্রয়োজন নাও হতে পারে। কিন্তু সেই সীমায় আমরা উত্তীর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদেরকে এই শ্রেণীগুলোর জন্য বিশেষ বিধান রাখতে হবে। সে বিষয় আমরা বিবেচনা করে নারীদের আসনটা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছি। এবং ধীরে ধীরে আমরা আশা করি বাংলাদেশের নারী সমাজ আরো বিভিন্নভাবে ক্ষমতায়িত হবে কনস্টিটিউশনালি, লিগালি এবং সমাজের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে।’
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিরোধীদলীয় দল থেকে বানানোর বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, ‘সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধীদলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে যে প্রস্তাবটা ওখানে প্লেস হয়েছিল, যে সব সভাপতির পদ বিরোধীদলীয় সদস্যদেরকে দেয়া যায় কিনা। এ বিষয়ে প্রথম পর্বের আলোচনায় প্রত্যেকে লিখিত এবং মৌখিক তাদের জবাব দাখিল করেছে। আমরাও করেছিলাম। সেই জায়গায় কয়েকটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিরোধী দলের সদস্যদেরকে দেয়ার ব্যাপারে তখনই প্রায় সকল দল একমত হয়েছিল। যেমন সরকারি হিসাব সম্পর্কিত আরেকটা পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটি, স্টিমেট প্রতিশ্রুতি কমিটি, প্রিভিলেজ কমিটি, এই জাতীয় বেশ কিছু কমিটি আছে, সেটা করা যায়।’