কক্স২৪ নিউজ ডেস্ক।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে কোনো রাজনৈতিক দল ভবিষ্যতে রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন এর উদ্যোগে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কেউ কেউ জিজ্ঞেস করছে, জুলাই সনদের প্রতিশ্রুতি যে বাস্তবায়ন হবে, তার গ্যারান্টি কী? প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্যেই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার সমগ্র পলিটিক্যাল পার্টিগুলো, শুধু ফ্যাসিবাদ বাদে, সরকার, জনগণ–সবাই মাসের পর মাস পরিশ্রম করতে করতে এখন এক বছর পার হয়ে গেছে এই ডকুমেন্টটা প্রণয়ন করতে; সেটা সমগ্র জাতি দেখেছে। এই ডকুমেন্টটা আর্কাইভে থাকবে, এই ডকুমেন্টটা বাস্তবায়ন না করে কোনো পলিটিক্যাল পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতি করতে পারবে? আমি বিশ্বাস করি না।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, অনেকে বলে যে আপনারা বাস্তবায়ন করবেন না। আমি বলি যে, বিএনপি যে সরকার গঠন করবে এটা কেউ শপথ করে বলেছে? আমাদেরকে কেন দায়ী করেন ? আমি বলব, যারা জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন সামনে শব্দটা ওই ভাবে হওয়া উচিত তারাই সবাই মোরালি অবলিগেটেড থাকবে এটা বাস্তবায়নের জন্য এই সনদের মধ্য দিয়ে।
বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বর্তমান সময়ের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জটা কি? আমরা এখনো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও নিজেদের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের বিষয়ে এখনো ঐক্যমত হয়তবা পোষণ করতে পারিনি। সময় আছে এর ভেতরে আশা করি সবাই আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা সেই ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারবো। আমরা আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব দলে একমত। এ বিষয়ে কারো কোন দ্বিমত নেই আজ পর্যন্ত নেই।
দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, যে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে কিনা এবং বিচারের বিষয়টা এখন আর কেউ বলছে না। কারণ সবাই ইতিমধ্যে বুঝে গিয়েছে। আমরা বলেছি যে, বিচার কোন কন্ডিশনাল বিষয় নয়। বিচারের জন্য কোন সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া যায় না তাহলেও বিচার হবে না।সুতরাং বিচার কার্যক্রম জুডিশিয়ার মধ্য দিয়ে স্বাধীন জুডিশিয়ারি মাধ্যমে পরিচালিত হবে এবং যে সরকারে আসুক তাকে সেই বিচার প্রক্রিয়া কন্টিনিউ করতে হবে এবং ইন্ডিপেন্ডেন্স অফ জুডিশিয়ারি যেহেতু প্রায় এনসিউর হয়ে গেছে আমি বলব বাকিটাও হয়ে যাবে সুতরাং সেই বিচারের বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে আমরা বক্তব্য দিতে পারি কিন্তু কোন রকমের কম্পালশন সৃষ্টি করা আমাদের উচিত হবে না।
সংবিধানের সংশোধন সংসদেই হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনে যে প্রসঙ্গটা এখনই বাস্তবায়ন হতে হবে সেটার কোন পদ্ধতি আছে কিনা আমার জানা নাই। কিন্তু সংবিধানের সংশোধন বিষয়ে আমরা একমত হতে পারি এবং সেটা বাস্তবায়নের জন্য সেই কমিটমেন্টটা যাতে আমরা দৃঢ় করতে পারি সেজন্য কোন পদ্ধতি থাকতে পারে।
আজকেই যদি সেই ১৯ট বা ২০ টা বিষয়ে যেগুলো সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত সে বিষয়ে কার্যকর হয়ে গেছে বলে যদি ধরে নেয়া হয় সেরকম কোন ডকুমেন্টে, সেই ডকুমেন্টটা নিয়ে যদি তারপর দিন যে কোন সিটিজেন কোর্টে যায় সিটিজেন যদি জিজ্ঞেস করে বাংলাদেশের সংবিধান কয়টা? তখন কোর্ট বলবে, যে সংবিধান সংশোধনে কে করল? কোন ফোরাম করল ? কার এই এখতিয়ার আছে জিজ্ঞেস করবে। তাহলে আমরা কোন সংবিধান নিয়ে বর্তমানে বিচারকার্য করছি? আমাদের এই বিদ্যমান সংবিধান কি বাতিল করা হয়েছে বা স্থগিত করা হয়েছে। হয়নি। সুতরাং কন্ট্রাডিক্টরি কোন বিষয়ে যাওয়া যাবে না ক্ল্যাশ করা যাবে না
আলোচনা সভায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হাসনাত আবদুল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।