নিউজ ডেস্ক।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে প্রশাসনিক ‘ক্যু’ শব্দটিও শুনতে চাই না। আমরা কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং দেখতে চাই না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাই যদি হবে- এত লোক জীবন দিল কেন? ফ্যাসিবাদী আমলের কোনো ইলেকশন এই বাংলার জমিনে আর হতে দিব না। বিশ্বাস করি, আমরা আল্লাহর সাহায্য পাব। কারণ আমরা ন্যায়ের পথে আছি, জনগণের অধিকারের পক্ষে আছি। যতক্ষণ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্নটুকু থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। এই দায়িত্ব শুধু আমাদের একার নয়। এখানে আপনারা সব শ্রেণি পেশার মানুষ আছেন, ওলামারা আছেন, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আছেন এই দায়িত্ব আমার আপনার সকলের। আপনারা সমাজের সচেতন নাগরিক। আপনাদের চিন্তা চেতনা থেকে সহযোগিতা করুন।
৫ জুলাই শনিবার বিকালে ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামী উদ্যোগে জেলা আমীর মুফতি মাওলানা আবদুল হান্নান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে জামায়াত এসব কথা বলেন। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সন্তানরা লড়াই করেছে অধিকারের জন্য। সেই অধিকার আজও পূরণ হয়নি। তাদের প্রথম অধিকারই হলো দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচনের জন্য আমরা বলেছি অবশ্যই কিছু জরুরি এবং মৌলিক সংস্কার হতেই হবে। এই সংস্কারে বাধা দেওয়া কোনো রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা হতে পারে না। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব, সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করুন, আমরাও সহযোগিতা করছি। জাতির একটি মৌলিক জায়গায় একটা সমঝোতায় আসি। এরপর যার যার রাজনৈতিক করুন, কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি জাতির পঁচা, দুর্গন্ধ পরিষ্কার না হয়, আবার যদি এই অবস্থায় আরেকটা নির্বাচন হয়, এটা হবে নির্বাচনকে গণহত্যার শামিল। আমাদের সন্তানদের সাথে আমরা বেঈমানি করব না এবং কাউকে বেঈমানি করতে দেওয়া হবে না। সন্তানরা যে আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে তাদের পবিত্র রক্ত বাংলার জমিনে ঢেলে দিয়েছে, আমরা তাদের সেই আশা-আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য সদা প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরের আমাদের উপর তান্ডব চালানো হয়েছে। তারা প্রায়ই বলতেন, গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়ন বেশি প্রয়োজন। এর মানে তারা গণতন্ত্রকে স্বীকার করত না। এই মানসিকতা থেকেই তারা পরপর তিনটি নির্বাচনে প্রহসন করেছে। তারা আরও বলত দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আমরা বলি, উন্নয়নের মহাসড়কে নয়, তারা দেশকে ঋণের মহাসড়কে তুলে দিয়েছে। ২৬ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা বাংলাদেশের ৫টি বাজেটের সমান, যা তারা গত সাড়ে ১৫ বছরে পাচার করেছে। এই টাকা আমার আপনার টাকা। আবার তারা বালিশ কিনেছে ৭২ হাজার টাকায়, আর পর্দার কাপড় কিনেছে সাড়ে ৪ লাখ টাকায়। এগুলো কী সোনা দিয়ে তৈরি? এইতো ছিল তাদের উন্নয়ন। তারা রাস্তায় ও ব্রিজে রডের পরিবর্তে উন্নয়নের বাঁশ ব্যবহার করেছে। তিনি আরও বলেন, তাদের দুঃশাসনে কত মা-বাবা সন্তান হারা হয়েছেন! কত স্ত্রী স্বামী হারা হয়েছেন আর কত সন্তানরা পিতা হারা হয়েছেন! তা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।
তিনি বলেন, ঠান্ডা মাথায় আমাদের শীর্ষ নেতাদের খুন করা হয়েছে। বিচারের চাদর গায়ে দিয়ে চরম অবিচার করা হয়েছে। আমরা বলেছিলাম এসব অভিযোগ মিথ্যা, তদন্ত সংস্থা মতলবি। সাক্ষী বানোয়াট আর বিচারক রিমোর্ট কনট্রোল্ড। ব্রাসেলস থেকে রায় লিখে দেয় আর বিচারক বাংলাদেশে পড়ে শুনায়। লজ্জা! লজ্জা! গোট বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি মামলা ব্রিটেনের আদালতে পরিচালিত হয়েছে। আপনাদেরই ফেনীর সন্তান মহিউদ্দিন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দেওয়ায় তিনি ব্রিটেনের আদালতে তার প্রতিকার চেয়েছিলেন। ব্রিটেনের আদালত ‘বাংলাদেশের আদালতের রায়কে বিচারের নামে অবিচার বলেছেন।’ পতিত সরকার মূলত বাংলাদেশের পুরো বিচারব্যবস্থাকে খুন করেছে। বিচারের প্রহসন করে দেশপ্রেমিক মানুষ এবং আলেম-ওলামাদের দুনিয়া থেকে সরে দিয়েছে। আমাদের মোট ১১ জন শীর্ষনেতাকে সিরিয়ালি হত্যা করেছে। তারা এতই নির্মম ছিল যে, জানাযায় পর্যন্ত আমাদেরকে যেতে দেওয়া হয়নি। আমাদের বহু নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। আমাদের ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ঘরছাড়া করা হয়েছে। শতশত মামলা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় অফিস থেকে শুরু করে সকল শাখা অফিস সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধন কেড়ে নিয়েছে, মার্কাটাও কেড়ে নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত দিশেহারা হয়ে ২০২৪ এর ১ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধই করে দেওয়া হল। কী জুলুম করা হয়নি আমাদের উপর! এত জুলুম আর কোনো দলের ওপর হয়নি।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর প্রতিহিংসাপরায়ণ হইনি। প্রতিশোধের কথা চিন্তা করিনি। বরং আমরা শান্তি-স্থিতিশীলতার কথা চিন্তা করে দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের স্বোচ্ছাসেবকরা অমুসলিমদের ধর্মীয় উপাসনালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও জানমালের পাহারাদার হয়েছে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পাহারা দেওয়া হয়েছে। থানাগুলো অরক্ষিত থাকা সত্ত্বে দেশে শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় ছিল। তখন প্রশাসনিক সরকার ছিল না; তবে জনগণের সরকার সক্রিয় ছিল। দিন রাত পালাক্রমে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা এই দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা নির্দেশ দিয়েছিলাম মেঘ-বৃষ্টি-ঝড় যাই আসুক না কেন, লাঠি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। তারা সে দায়িত্ব পালন করেছে। আমাদের নেতৃবৃন্দও সেই ক্রাইসিস সময়ে মানুষের কাছে গিয়েছেন, তাদের আশ্বস্ত করেছেন, সাহস জুগিয়েছেন, অভয় দিয়েছেন। ফলে তারা ভরসা পেয়েছেন, আশ্বস্ত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এর কিছু দিন আমরা ফরমালি বিভিন্ন ধর্মের লোকদের সাথে বসেছি, মতবিনিময় করেছি। আমরা বলেছি, সরকারের সাথে আরেকটি প্যারালাল সরকার এভাবে আর কত দিন চলতে পারে। আমরা এখন ঘরে ফিরে যেতে চাই। তারা আশ্বস্ত হয়ে বলেছে, আমরা এখন ভরসা পাচ্ছি। আপনারা না চাইতেই যখন আমাদের নিরাপত্তা দিয়েছেন, এখন আপনারা ঘরে ফিরে যেতে পারেন। এরপর আমরা সিভিল সোসাইটির সাথে বসেছি, বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দের সাথে বসেছি, সরকারের সাথে বসেছি। সরকার বলেছে, আপনারা একটা বিরাট গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনারা এখন ঘরে ফিরে যেতে পারেন। তখন আমরা তাই করেছি।
তিনি বলেন, শুধু কী তাই। পুলিশ আমাদের উপর শত জুলুম নির্যাতন করা সত্ত্বেও যেখানে থানা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে বসার জায়গা নেই, কাজ করার পরিবেশ নেই, আমরা সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেখানে চেয়ারটেবিলের ব্যবস্থা করে তাদের কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দিলাম। এভাবে আমরা সারাদেশে ২৩২টি থানায় এই ব্যবস্থা করে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। তারপরও পুলিশ সাহস না করায় আমরা তাদেরকে বলেছিলাম আপনারা ঘরের ভেতরে বসে কাজ করুন, আমরা বাহিরে বসে আপনাদের পাহারা দিব। আমরা তাই করেছিলাম। পুলিশ ভাইদের প্রতি আমাদের আহ্বান যারা বড় ধরনের অপরাধ করেছে তাদের বিষয়টি সরকার দেখবেন। কিন্তু এখন যারা কাজে আছেন তারা কারো দলের হয়ে কাজ করবেন না; জনগণের খাদেম হয়ে দেশের সেবা করুন। দলের হলে কী অবস্থা হয়! তা তো নিজের চোখেই দেখতে পেয়েছেন। আমরা আর আগের অবস্থা দেখতে চাই না। আপনারা জনগণের হয়ে কাজ করুন, আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাআল্লাহ। আপনাদের কাজে কিছু কিছু জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে, আমরা সেব্যাপারে সতর্ক আছি। মনে রাখবেন, এখন আমরা আপনাদের সাথে একাকার হয়ে দুষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করব। কাজেই ভয় পাবার কিছু নেই। তারপরও দেশ দুর্বৃত্তের হাতে পড়–ক, আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসুক এটা আমরা কোনোভাবেই চাইনা। ফ্যাসিবাদ নতুন না পুরাতন সেটা আমরা দেখব না। কোনো ফ্যাসিবাদই বাংলার জমিনে থাকতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অন্তরে আল্লাহর ভয় না থাকার কারণেই সব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকলে মানুষের অধিকার কখনো অনিরাপদ হবে না। মানুষের জানমাল, ইজ্জত-আব্রু তার হাতে নিরাপদ থাকবে। আমরা আল্লাহর কাছে আরজ করি, যাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে, দেশ সেবার দায়িত্ব তাদের হাতে দিন। আমরা ক্ষমতার মসনদে বসতে চাই না। আমরা চাই দেশে ইনসাফ ভিত্তিক একটি সমাজ গড়ে উঠুক; যে সমাজে দল-মত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষ থাকবে নিরাপদ। আল্লাহর কসম এমন একটি সমাজ শুধু আল্লাহর কুরআনের শাসনের ভিত্তিতেই সম্ভব। আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এটা আমার কথা নয়। এটা নবী কারীম সা. এর পবিত্র জবানের কথা। তিনি বলেছেন, ‘হে বিশ্ববাসী সাক্ষী থাক, আজ আমি তোমাদেরকে এমন একটি সমাজ উপহার দিয়ে যাচ্ছি, যে সমাজে ইয়েমেনের সানা থেকে হাজরা মাওত পর্যন্ত একজন যুবতী নারী, তরুণী একা সফর করবে, অথচ আল্লাহর ভয় ব্যতীত তার আর কারো ভয় করার প্রয়োজন হবে না। কোনো জালিম তার দিকে চোখ তুলে তাকাবার সাহস পাবে না। সেই সমাজ আজ আমি তোমাদেরকে উপহার দিয়ে যাচ্ছি।’ এই সমাজই হল কুরআনের সমাজ। এ কুরআন দিয়েই তিনি আরবের জাহেলী সমাজকে একটি মানবিক সমাজে পরিণত করেছিলেন। এই কুরআনের সাহায্যেই বাংলাদেশে শান্তির নীড় গড়তে হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে আমরা কী ভেবেছিলাম আওয়ামী লীগের এই অবস্থা হবে। আমি বলি ‘ধরে আল্লাহ ছাড়ে কে।’ আল্লাহ যখন কাউকে ধরেন, তখন তার আর ছাড় নেই। আল্লাহ দুনিয়াতে সব পরিবর্তন যুবকদের মাধ্যমে করে থাকেন। আরবের জাহিলিয়াতের পরিবর্তনও এসেছে যুবকদের হাত ধরে। নবী করীম সা. এর সেই কঠিন সময়ে হযরত আলী ও হযরত আবু বকর রা. এর ন্যায় যুবকরাই এগিয়ে এসেছিলেন। বাকীদের বয়সও ছিল ৮ থেকে ৩৬ এর মধ্যে। যুবকরই হল জাতির পরিবর্তনের নিয়ামক শক্তি। আমাদের পরিবর্তনেরও নিয়ামক শক্তি হল শহীদ আবু সাঈদ। সে বলেছিল, ‘বুকের ভেতর তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’ সে নিজের জীবনের বিনিময়ে গোটা দেশের মানুষের জীবন ফিরিয়ে দিয়ে গেছে। জাতি হিসেবে আমরা আবু সাঈদ ও তার সঙ্গীদের কাছে ঋণী। তারা যদি বুক চিতিয়ে না দিত, তাদের ডাকে যদি আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা বিক্ষোভে ফেটে না পড়ত, আল্লাহই ভাল জানেন এই দেশ আরও কত দিন অন্ধকারে থাকত! আজ আমরা কথা বলতে পারছি, রাজনীতি করতে পারছি, জনগণ ও দেশকে নিয়ে ভাবতে পারছি। এটা ৫ আগস্টের আগে ভাবতে পারিনি। জেলখানায় অনেক রাজনৈতিক বন্ধুদের চোখে হতাশার ছাপ দেখেছি। অনেকে বলেছেন আমাদেরকে ৪১ সাল পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে। স্বল্প সময়ে হবে না; আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। কিন্তু আল্লাহ নিজে পরিবর্তন এনে দিলেন, যা ছিল আমাদের অকল্পনীয়, অচিন্তনীয়। অথচ আমাদের অনেকে এখনই ধৈর্যহারা হয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দুনিয়াটা একটা পাঠশালা আর কুরআন-হাদীস হলো তার পাঠ্য। আমরা হলাম ছাত্র আর এই মানবতার মহান শিক্ষক হলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সা.। মানুষ যতদিন পবিত্র কুরআনকে মেনে চলেছে, ধারণ করেছে ততদিন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সম্মানিত করেছেন, সুখ দিয়েছেন, শান্তি দিয়েছেন। মানুষ যখন আল্লাহর কিতাব উপেক্ষা করেছে, ছেড়ে দিয়েছে তখন মানুষ অপমানিত হয়েছে। স্বয়ং আল্লাহপাক বলেছেন, ‘তোমরা কী কুরআনের কিছু অংশ মান আর কিছু অংশ ছেড়ে দাও। তোমাদের মধ্যে যারাই এমনটি করবে তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা-অপমান আর আখিরাতে রয়েছে কঠোর আযাব।’ আজকে দুনিয়ার দিকে তাকালে আমরা এই চিত্রই দেখতে পাই। অতীতে যারা কুরআনকে ধারণ করেছিলেন, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সম্মানিত করেছিলেন। আর আজকে যারা কুরআন থেকে দূরে সরে গেছে, তাদেরকে তিনি অপমানিত অবস্থায় রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা গরীব নই। আমাদেরকে গরীব করে রাখা হয়েছে। আমাদের জমিনে সম্পদ, পানিতে সম্পদ, আকাশে সম্পদ। এত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের বুকে আমরা জাতি হিসেবে সম্মানিত হতে পারিনি একটি মাত্র কারণে; আর তা হলো চারিত্রিক বা সততার সম্পদের অভাব।