
কক্স২৪নিউজ ডেস্ক।
“জনদাবি হিসেবে অবিলম্বে ‘জুলাই সনদ’-এর আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তা না হলে স্বৈরাচার আবার ফিরে আসবে। বাংলাদেশে যেন আর কোনো ফ্যাসিস্ট শাসন ফিরে না আসে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে — যা ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন ছাড়া সম্ভব নয়— এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবর।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বরিশাল নগরীর টাউন হল চত্বরে প্রশাসনে দলীয়করণের প্রতিবাদ, সর্বস্তরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণসহ ৫ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যক্ষ বাবর বলেন, “বিপ্লব-পরবর্তী প্রশাসন এখন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। আমরা কোনো কথা বললে সেটাকে অন্যভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এই দলীয়করণের জন্য হাজারো ছাত্র-জনতা তাদের জীবন উৎসর্গ করেনি। অনতিবিলম্বে দলবাজ প্রশাসনকে প্রতিহত করতে না পারলে বিপ্লব তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, “জনদাবি হিসেবে অবিলম্বে ‘জুলাই সনদ’-এর আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তা না হলে স্বৈরাচার আবার ফিরে আসবে। বাংলাদেশে যেন আর কোনো ফ্যাসিস্ট শাসন ফিরে না আসে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে — যা ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন ছাড়া সম্ভব নয়। দেশের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। উপদেষ্টারা যদি নিরপেক্ষ আচরণ করেন, তবে প্রশাসনও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।”
মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর নায়েবে আমির অধ্যাপক মাহমুদ হোসাইন দুলাল, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ ও তারিকুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা জয়নুল আবেদীন, আব্দুস সত্তার, মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল, মাহফুজুর রহমান আমিন, মাওলানা শফিউল্লাহ তালুকদার, শামীম কবির, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, কাউনিয়া থানা আমির মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, পেশাজীবী বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুলতানুল আরেফিন, উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা সোহরাব হোসেন, ব্যবসায়ী বিভাগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার, ব্যাংকার্স বিভাগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, আইনজীবী বিভাগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের শহীদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ, চকবাজার ও কাটপট্টি রোডসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টাউন হল চত্বরে এসে শেষ হয়।