কক্স২৪ নিউজ ডেস্ক।
পিরোজপুর-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত এমপি পদপ্রার্থী, জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালায় না, পালাতে জানে না’—এই কথাগুলো যিনি বারবার বলতেন, সেই শেখ হাসিনাই গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
জুলুম নির্যাতন আর অপরাজনীতির কারণে ৫ আগস্ট দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের রাজনীতির মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। এখন যারা খুনি আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে, তাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি–যারা লীগের রাজনীতি পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে জনগণ তাদেরকেও প্রত্যাখ্যান করবে।
বাংলাদেশে আর আওয়ামী লীগ, ভারতপন্থী, মুজিববাদী রাজনীতি চলবে না। আওয়ামী লীগের নামে আর কোনো রাজনীতি কেউ করতে পারবে না। এ দেশে চলবে বাংলাদেশপন্থীদের রাজনীতি, ইসলামের রাজনীতি। যারা দিল্লির এজেন্ডা চাপিয়ে দিতে চাইবেন, তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে খুনি হাসিনার পতনের প্রথম বার্ষিকীতে ‘জাতীয় মুক্তি দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত গণ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ সাঈদী এসব কথা বলেন। সমাবেশ পূর্ব বিশাল মিছিলটি সকাল ১০টায় পিরোজপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ আগস্ট মাসে কোরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীকে পরকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল আর আল্লাহ তায়ালা এই আগস্ট মাসেই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছেন। ওরা জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল, আল্লাহ তায়ালা ওদের রাজনীতিই বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করা যাবে না। কারণ জামায়াত শিবিরের অবস্থান এ দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে-হৃদয়ে। যারাই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ আর রাজাকার-রাজাকার খেলা খেলতে আসবে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে, তারাই রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর সুপ্রীম কোর্ট থেকে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলামের বেকসুর খালাসপ্রাপ্তির পর একথা প্রমাণিত হয়েছে যে জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচার ছিল সম্পূর্ন মিথ্যা ও সাজানো নাটক। যারা বিচারের নামে এই মিথ্যা সাজানো নাটকের জড়িত থেকে নিরীহ-নির্দোষ মানুষদের হত্যা করেছে, ফাঁসি দিয়েছে সেই বিচারপতি, প্রসিকিউটরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করার দায়ে তাদেরকে আইন অঙ্গন থেকে বহিষ্কার করতে হবে।