ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
ডাকসুতে প্রার্থী হিসেবে থাকছেন ছাত্রশিবির মনোনীত ঐক্যজোট প্যানলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ। ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন ফরহাদের আইনজীবী। তিনি বলেন, সেখানে মামলার রুলই চলে না, সেখানে রিট পিটিশন কীসের। আদালত সেটি গ্রহণ করেছে এবং এর মাধ্যমে ফরহাদের প্রার্থীতা করতে কোনো বাধা নেই।
এর আগে শিশির মনির বলেন, ‘কে কোন দলের বা মতের, সেটা বিবেচ্য বিষয় না। কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মানছে এবং কে মানছে না; সেটাই বিবেচ্য বিষয়।’ তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন হতে বাধা নেই। এখানে ৪৭১ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করবে। শিশির মনি বলেন, ডাকসু স্থগিতে রিট আবেদন মোটেও চলনশীল নয়। কোনটা ঠিক এবং কোনটা ঠিক না- এই প্রশ্নে রিট হয় না। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটাই তারাই দেখতে পারবে।
শিশির মনির বলেন, যখন প্রাথমিক লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তখন কোনো অভিযোগ দেননি। ২৮ আগস্ট চূড়ান্ত তালিকাতেও কোনো অভিযোগ দেননি। সরাসরি হাইকোর্টে এসে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। এসব আমলে নিয়ে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়েছে।
এর আগে সোমবার হাইকোর্ট ডাকসু নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন। তবে বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ওই আদেশ স্থগিত করেন। তাৎক্ষণিক হাতে লেখা আপিল আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব চেম্বার কোর্টে শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। চেম্বার আদালত একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল আবেদন করে। পরে চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।
সোমবার হাইকোর্ট বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেন।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ডাকসু জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানিতে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। হাইকোর্ট আদেশে রিটকারী ও ডাকসু নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডাকসুর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে বলা হয়।