কক্স২৪ নিউজ ডেস্ক।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন বলেছেন, “মৌলিক সংস্কার ছাড়া দেশের জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না।”
রবিবার (৩১ আগস্ট) সকালে যশোর জেলা পরিষদ (বিডি হল) মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলার উদ্যোগে আয়োজিত মহিলা ওয়ার্ড সেক্রেটারি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূল।
জনাব মোবারক হোসাইন আরও বলেন, “২৪-এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে ১৪ শতাধিক শহীদের আত্মত্যাগে দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে। জাতি ভেবেছিল আদর্শ সমাজব্যবস্থা ও ভারতীয় আধিপত্যমুক্ত একটি রাষ্ট্র গড়ে উঠবে। কিন্তু বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত করার অপচেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে এক বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছিল। জুডিশিয়াল কিলিং-এর মাধ্যমে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।”
তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নির্বাচনের পূর্বে জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। এর আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সকল দলের জন্য সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। দেশের ৭১% নাগরিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী পিআর পদ্ধতি দাবি করছি।”
তিনি আরও বলেন, “কিছু মহল প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে যে জামায়াত নির্বাচন চায় না। এটি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা চাই দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হোক, যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে।”
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও যশোর-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা আজীজুর রহমান, অঞ্চল টিম সদস্য ডা. আলমগীর বিশ্বাস, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, যশোর-৩ আসনের প্রার্থী ডিপি আব্দুল কাদের, যশোর-৬ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ মোক্তার আলী, যশোর-৫ আসনের প্রার্থী এডভোকেট গাজী এনামুল হক, অধ্যাপক আবুল হাশিম রেজা প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক গোলাম রসূল বলেন, “জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কাকে ক্ষমতায় বসাবে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ কল্যাণকর নয়। গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বাধীনতার চেতনা পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নারীরা সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য মহিলা ওয়ার্ড সেক্রেটারিদের সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।”