কক্স২৪ নিউজ ডেস্ক।
উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ বিমান দূর্ঘটনা কবলিত পোড়া ভবনের শ্রেণিকক্ষ ও বারান্দায় পড়ে রয়েছে অসংখ্য বই-খাতা। একটি খাতা হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা ওল্টাতেই ছুটির আবেদনপত্র দেখে চোখ আটকে যায়। কচি হাতের সুন্দর লেখা। আবেদনপত্রটির একাংশে বলা হয়েছে, ‘তিন দিন আমি স্কুলে উপস্থিত থাকতে পারব না। অনুগ্রহপূর্বক তিন দিন অগ্রিম ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।’ কিন্তু অগ্রিম ছুটির এই অসমাপ্ত আবেদন রেখেই চিরতরে ছুটি নিয়েছে স্কুলের ২৫ শিক্ষার্থী।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, এমন অসংখ্য পোড়া বই-খাতা পড়ে আছে ভবনের মেঝে ও সামনের মাঠে। পোড়া স্কুল ভবনটি সামনে নীল রঙের টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। সেখানে রয়েছে একটি টিনের দরজা। সেটি খুলে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়া স্থানটিতে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যেটি ভবনটির নিচে গিয়ে ঠেকেছে। সেখানে পানি জমে রয়েছে। গর্ত বরাবর শ্রেণিকক্ষটি তৃতীয় শ্রেণির।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে ২১ জুলাই এই শ্রেণিকক্ষের নিচে ঢুকে যায়। তৃতীয় শ্রেণির স্কাই সেকশনের বাঁ পাশেরটিও তৃতীয় শ্রেণির, ক্লাউড সেকশন। এই দুটি শ্রেণিকক্ষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে, চেয়ার-টেবিল সবই পুড়ে গেছে। পুড়েছে দোতলা ভবনটির অন্য শ্রেণিকক্ষও। বই-খাতা, ব্যাগ, টিফিন বক্স এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছে ২৫ জন। এর মধ্যে ১২ জনই তৃতীয় শ্রেণির। এই ক্লাসের দুটি সেকশন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।