কক্স২৪ নিউজ ধর্মীয় ডেস্ক।
জুমআর দিন বাদ আসর সালাফদের আমল
১) “ বিখ্যাত তাবিয়ী হযরত সাঈদ ইবনু যুবায়ের রহ. (জুমআর দিন) আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারও সাথে কথা বলতেন না। (পুরো সময়টা দুআতে মশগুল থাকতেন)। ”
– ইবনুল কাইয়িম রহ.
[যাদুল মাআদ : ১/২৮২]
২) ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেন:
“ জুমআর দিনটি হলো ইবাদতের দিন। দিনের মধ্যে জুমআর দিনটি মাসের মধ্যে রমযানের মতো, আর জুমআর দিনের বিশেষ সময়টি মাহে রমযানের লাইলাতুল কদরের মতো। ”
[যাদুল মাআদ, ১/৩৮৬]
“ জুমআর দিন যে সময়টিতে দুআ কবুল হয় তা হলো, আসরের পরের শেষ সময়টি। সব ধর্মাবলম্বীরাই এই সময়টির কদর করে থাকে। ”
[যাদুল মাআদ : ১/২৮৪]
৩) ইমাম ইবনুল আসাকির রহ. তাঁর বিখ্যাত ‘তারীখে দিমাশক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন:
“ একবার সালত ইবনু বুস্তাম রহ. দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তখন তার বন্ধুবান্ধবরা তার জন্য জুমআর দিন আসরের পর দুআ করতে থাকেন। মাগরিবের পূর্বে তাঁর একটি হাঁচি আসে এবং তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে। ”
[ইবনে আসাকির; তারীখে দিমাশক]
৪) হযরত তাউস ইবনু কায়সান রহ. জুমআর দিন আসরের নামাজ পড়ে কেবলামুখী হয়েই বসে থাকতেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারও সাথে কথা বলতেন না।
[তারীখে ওয়াসেত]
৫) মোফাজ্জাল ইবনও ফাজালা রহ. জুমআর দিন আসরের নামাজ পড়ে মসজিদের এক কোনায় একাকী বসে যেতেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত একটানা দুআ করতে থাকতেন।
[আখবারুল কুযাত]
৬) সালাফদের মধ্যে কোনো এক বুজুর্গ বলেছেন,
“ আমি জুমআর দিন আসর ও মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে যে কোনো দুআই করেছি আল্লাহ আমার সেই দুআই কবুল করেছেন। একটা পর্যায়ে আমার কাছে কিছুটা লজ্জাও লাগত। ”
৭) ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেছেন,
“ যার জুমআর দিন ঠিক হয়ে যাবে তার পুরো সপ্তাহ হয়ে যাবে। ”
.
একটি বিশেষ দুআ: –
اللهُمَّ إِنَّي أَسْأَلُكَ الْفِرْدَوْسَ الْأَعْلَى مِنَ الْجَنَّةِ
“ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর-জান্নাতুল ফিরদাউস কামনা করি। ”
ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ. এই দুআটির ব্যাপারে বলতেন,
“আপনি যদি কাউকে এই দুআটি বেশি বেশি করতে দেখেন তাহলে নিশ্চিত থাকুন যে, আল্লাহ তার জন্য তা লিখে রেখেছেন।