কক্স২৪নিউজ ডেস্ক।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য।
এই বিষয়ে আচরণবিধি মনিটরিং সেলের প্রধান ও চাকসু নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ স্পষ্ট করেছেন, এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নেয়নি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে এক ফোনালাপে তিনি বলেন, “আমরা কখনোই কোনো প্যানেলকে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে জরিমানা করেছি—এমন বক্তব্য দিইনি। কোথা থেকে এই তথ্য এসেছে, সেটি আমাদের জানা নেই। বর্তমানে আমরা পুরোপুরি নির্বাচন পরিচালনার কাজে ব্যস্ত।”
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, “আমি এই বিষয়ে পরে বিস্তারিত কথা বলবো।”
এদিকে, ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর ছড়ানো হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে ২০ হাজার টাকা জরিমানার কোনো তথ্য আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে পাইনি। এ ধরনের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বানোয়াট।”
উল্লেখ্য, আজ (১৫ অক্টোবর) দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একইসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে হল ও হোস্টেল সংসদের নির্বাচনও। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ।
এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) ব্যালট পদ্ধতি। পাঁচটি অনুষদভবনে স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি ভোটকেন্দ্র এবং মোট ৬১টি ভোটকক্ষ। প্রতি ভোটকক্ষে সর্বোচ্চ ৫০০ জন শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
চাকসুর মোট ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। অপরদিকে, হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদে লড়ছেন আরও ৪৯৩ জন। সর্বমোট ভোটারের সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ বাকী উল্লাহ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত