ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে গতকাল (শুক্রবার, ১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে তুরস্কের ইস্তানবুলে পৌঁছান বাংলাদেশী আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহীদুল আলম। সেখান থেকে তুর্কি সরকারের সহায়তায় আজ (শনিবার, ১১ অক্টোবর) ভোরে ফিরলেন নিজ বাসভূমে।
বিমানবন্দরে অবতরণের পর বন্ধু-স্বজন-সহকর্মীদের আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন তিনি।
গাজা উপকূলে পৌঁছানোর আগমুহুর্তে ইসরাইলী সেনাদের হাতে আটক হয়েছিলেন শহিদুল আলম। সেখানে, ইসরাইলি সেনাদের মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের স্বীকার হন তিনি। তবে, গাজাবাসীর কষ্টের তুলনায় সেসব নগণ্য হিসেবেই দেখতে চান এ মানবাধিকারকর্মী।
শহিদুল আলম বলেন, ‘আমি যেতে পেরেছি, অনেকে যেতে পারেনি। অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তারা যেতে চেয়েছে। আমি মনে করি আরও হাজার এমন ফ্লোটিলা যাওয়া দরকার। যতক্ষণ না ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে, আমাদের এ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যাকায় মানবিক সহায়তা সামগ্রী প্রবেশে ইসরাইলি অবরোধ ভাঙ্গার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা বহরের কনসায়েন্স নামের জাহাজে করে যাত্রা করছিলেন ৯৩ অধিকারকর্মী। তাদের একজন হতে পেরে শহিদুল আলমের গর্ব যেমন আছে, তেমনি শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আছে দরদও।
শহিদুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশি যারা সারা পৃথিবী থেকে সাড়া দিয়েছে। দোয়া করেছে ভালোবাসা পাঠিয়েছে তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তুরস্কের এয়ারলাইন্স আমাদের আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে, তাদের কাছে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দেশের সরকার যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, ইস্তাম্বুলে আমাকে গ্রহণ করেছেন, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার কিছু ছিল না, সেগুলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, সেগুলোর জন্য ধন্যবাদ।’
গাজায় আপাত যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে, স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের আগমুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্ববাসীর সরব ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান শহিদুল আলম।