স্টাফ রিপোর্টার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, আমাদের ছাত্রদের স্লোগান ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’। আমরা চাই ঐক্যবদ্ধ, সাম্যনিষ্ঠ ও মানবিক বাংলাদেশ। আমরা আর বিভাজনের বাংলাদেশ দেখতে চাই না। এ দেশের প্রতিটি নাগরিকই এই দেশের গর্বিত সন্তান। ধর্ম, মতাদর্শ কিংবা রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কাউকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার মানসিকতা দেশপ্রেম ও গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই বাংলাদেশী। ভিন্ন মত, ভিন্ন বিশ্বাস ও ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তা সত্ত্বেও আমাদের পরিচয় এক- আমরা এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক। তাই জাতিকে বিভাজনের পথে নয়, ঐক্যের পথে এগিয়ে নিতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টার হলরুমে উপজেলা ও শহর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য আব্দুর রশিদ, নীলফামারী জেলা আমীর ও জেলা-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের জামায়াত মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, জেলা মজলিসে শূরা সদস্য ও সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম (জামায়াত মনোনীত প্রার্থী, নীলফামারী-৪ আসন), জেলা পরিচালক ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ফোরামের সভাপতি আখতারুজ্জামান বাদল। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর শহর আমীর শরফুদ্দিন খান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন শহর সেক্রেটারি মাওলানা ওয়াজেদ আলী। দুই শাখার শতাধিক দায়িত্বশীল এতে অংশগ্রহণ করেন।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, আমাদের সমাজে ধর্মীয় চেহারা বা রাজনৈতিক সমর্থনের কারণে এখনো অনেক তরুণ চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। কেউ দাড়ি রাখায়, কেউ টুপি পরায়, কেউ হিজাব পরায় বৈষম্যের শিকার হন। কিন্তু সময় বদলাচ্ছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানেও আজ ‘হিজাব’ ও ‘অধিকার’-এর পক্ষে তরুণরা স্লোগান দিচ্ছে। এই পরিবর্তনই আশার বার্তা দেয় যে, নতুন প্রজন্ম বিভাজনের রাজনীতি নয়, ন্যায় ও মর্যাদার সমাজ চায়।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীলদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। জনআকাক্সক্ষা পূরণে আমাদের কাজ করতে হবে। সমাজে বৈষম্য দূর করে ন্যায়ভিত্তিক, ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়তে হবে। এ দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও যে অসমতা, দুর্নীতি ও অবিচারে জর্জরিত-তা দূর করে জনগণকে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ দিতে হবে।
তিনি আহ্বান জানান, “আত্মমর্যাদায় উজ্জীবিত হয়ে, নিজস্ব সম্পদ ও সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের স্বনির্ভর জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। তবেই বাংলাদেশ হবে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন, ন্যায়ভিত্তিক ও মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ বাকী উল্লাহ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত