চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের চকবাজারে ইসলামী ছাত্রশিবির ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ বা মামলা করেনি। যদিও দুপক্ষই দাবি করেছে, তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে অস্ত্রের ব্যবহার হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিএমপির চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই মামলা করেনি। মামলা বা অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এর আগে গত সোমবার রাতে আরিফুল ইসলাম নামে সরকারি হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে অভিযুক্ত করে থানায় নিয়ে যান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আরিফুলকে ছাড়িয়ে আনতে যান। আরিফকে নিজেদের সংগঠনের সাথি দাবি করে শিবির। এরপর বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী আসার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সংঘর্ষের সময় কয়েকজনকে অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়। এ-সংক্রান্ত ছবি-ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু এসব অস্ত্র ব্যবহারকারী কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি তানজির হোসেন বলেন, চকবাজার এলাকায় বহিষ্কৃত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশার লোকজন চাঁদাবাজি করায় স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে মুহসীন কলেজের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম ওই চাঁদাবাজদের থানায় সোপর্দ করেন। সেটির ক্ষোভ থেকে আরিফকে একা পেয়ে টোকাই ও চাঁদাবাজরা ধরে মারধর করে। পরে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে থানায় সোপর্দ করে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিগগির তারা থানায় অভিযোগ জমা দেবেন।
চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম কক্স২৪ নিউজকে বলেন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজের এক ছাত্রলীগকর্মীকে আটক করে চকবাজার থানায় সোপর্দ করে ছাত্রদল। তাকে ছাড়িয়ে আনতে যায় শিবির। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় তারা।
তিনি বলেন, আমরা অভিযোগ বা মামলা করব না। যখনই আমরা আক্রান্ত হব, তখনই এভাবে প্রতিহত করব।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ বাকী উল্লাহ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত