নিউজ ডেস্ক।
পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিবর্তে আবারো প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা রাখছে’ উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে চাঁদার জন্য হত্যা করা হয়েছে বলে ওই ব্যবসায়ীর পরিবার জানালেও পুলিশ তদন্তের আগেই ঘোষণা দিয়েছে, চাঁদার জন্য নয়; ব্যবসায়ীক বিরোধে হত্যা করা হয়েছে!
রোববার রাতে পল্টন থানা জামায়াতের ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম বুলবুল আরো বলেন, ‘নিহত ব্যবসায়ী সোহাগের স্ত্রী জানিয়েছেন- সোহাগকে হত্যা করার সাথে সরাসরি জড়িত তিনজনের নাম মামলা থেকে বাদ দিয়ে নিরপরাধ তিনজনের নাম যুক্ত করা হয়েছে। এমনটি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শাসনামলে চলেছে এখনো চললে সেটি মেনে নেয়া হবে না। প্রশাসন কোনো দলের পক্ষে অবস্থান নিলে জনগণ সেটি মেনে নেবে না। প্রশাসন চেহারা দেখে দেখে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ জন্যই জামায়াতে ইসলামী ৫ আগস্ট পরবর্তী বারবার বলে আসছে, পুলিশ প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়াই নির্বাচন দিলে সেটি অতীতের মতো সমঝোতা আর নীলনকশার নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, এজন্যই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার ১১ মাস পরে জামায়াতে ইসলামী জনগণের সাত দফা দাবি উত্থাপিত করেছে। এই দাবি গণমানুষের দাবি। জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি। এই দাবি আদায় হলেই সত্যিকারের জনগণের সরকার গঠন হবে।
এজন্য সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশে দেশবাসীকে স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণ করতে তিনি আহ্বান জানান।
নতুন বাংলাদেশের ভিত্তিকে মজবুত করতে সাত দফা’ উল্লেখ করে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির বলেন, ‘গত ১৭ বছরের প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিরকরণ’ হলেই ছাত্র-জনতার আত্মদানে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ গঠন করা যাবে।এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক কাঠামো গুলো বিগত সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। এই রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও জানমালের হেফাজত করতে নব্য ফ্যাসিস্টদের প্রতিহত করতে হবে। চাঁদাবাজি আর খুনাখুনির জন্য একটি দলের প্রতি জনসাধারণের ঘৃণা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন।তাই মানুষ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ নেতৃত্বের পরিবর্তন চায়। মানুষ এবার সৎ, যোগ্য, আর্দশিক, নৈতিক ও মানবিক নেতৃত্বের বাংলাদেশ চায়। জামায়াতে ইসলামীতে রয়েছে সৎ, যোগ্য, আর্দশিক, নৈতিক ও মানবিক নেতৃত্ব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকটে ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
পল্টন থানা আমির শাহীন আহমেদ খানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মারুফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পল্টন থানা সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মোস্তাফিজুর রহমান ও এনামুল হক। ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী খন্দকার আব্দুর রব, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জরুল ইসলাম, পল্টন থানা কর্মপরিষদ যথাক্রমে আ ফ ম ইউসুফ, নজরুল ইসলাম মজুমদার, আল-আমিন রাসেল, মাওলানা এনামুল হক শামীম, সাঈদ জুবায়ের, মো: হাবিবুর রহমান, শামীম হাসনাইন, মোশাররফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও সম্মেলনে থানার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ বাকী উল্লাহ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত