নিউজ ডেস্ক।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, আওয়ামী-হাসিনার আমলের নৃশংস গুম-খুনের কথা মানুষ তখনই ভুলতে পারে যখন একই রকম খুনখারাবি এবং পাশবিক আচরণ আগেকার ‘মজলুমদের’ দ্বারা সংগঠিত হতে থাকবে।
তিনি সম্প্রতি পুরোনো ঢাকায় পৈশাচিকভাবে ভাঙারি ব্যবসায়ী হত্যা প্রসঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার রাজনৈতিক পক্ষগুলোর প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, প্লিজ আর যা-ই করেন হাসিনার আমলের গুম-খুনের কথা ভুলিয়ে দেয়ার মত নৃশংস আচরণ করবেন না।
শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের উদ্যোগে ‘ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ আহ্বান জানান। বাবর চৌধুরীর সঞ্চালনায় ও শেখ আব্দুন নুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আলী রীয়াজসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, কয়দিন আগেও আমরা সব রাজনৈতিক দল এক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, কে ছোট কে বড় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলি নেই। সবাই একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। তাহলে আজ কেন এতো বিভেদ? আজ কেন আমরা একে অপরের দিকে আঙুল তুলছি? শত্রুর হাতে আমাদের রক্ত ঝরলে কিংবা নিগৃহীত হয়ে জেলে গেলেই আমরা শুধু ঐক্যবদ্ধ হই।
তিনি আফসোস করে বলেন, আমরা বারবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছি পরক্ষণেই আবার ক্ষুদ্র স্বার্থে বিরোধে লিপ্ত হয়েছি। বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও দখলবাজির উল্লেখ করে তিনি বলেন কোনও সংস্কার দিয়ে আমাদের এই রোগ সারবে বলে মনে হয় না। ক্ষমতা পেলেই অন্যের অধিকার হরণের প্রবণতা পেয়ে বসলে কোন দলের পক্ষেই দেশ পরিবর্তন সম্ভব না। তিনি বলেন, হাসিনার শাসনামলের পুনরাবৃত্তিই যদি আমরা করি তাহলে আমাদের সকলকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। জুলাইয়ের শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ সহ কেউ আমাদের ক্ষমা করবে না।
মজিবুর রহমান মঞ্জু আরো বলেন, আমরা জানতাম হাসিনাকে সরাতে একটি গণঅভ্যুত্থান লাগবে কিন্তু এই গণঅভ্যুত্থান কীভাবে হবে? এর নেতা কে হবে? এটি আমরা জানতাম না। তিনি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা কোনোভাবে আমাদের শত্রুকে সুযোগ দিতে চাই না। আমাদের একে অপরের প্রতি আঙুল তোলা এবং কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতেই হবে।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ বাকী উল্লাহ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত