শাহরিয়ার মাহমুদ রিয়াদ স্টাফ রিপোর্টার।

চট্টগ্রাম অবস্থানরত চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার জামায়াতের নেতাকর্মী ও সুধীমন্ডলীকে নিয়ে প্রীতি সমাবেশ ও মিলন মেলা বর্ণাঢ্য আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) চট্টগ্রাম শহরের কাতালগঞ্জের কিশলয় কমিউনিটি সেন্টারে প্রোগ্রামের নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৭টায় প্রীতি সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা হলেও অনুষ্ঠান মিলন মেলায় পরিণত হয়।

প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান।

চট্টগ্রাম ইসলামি সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহেরের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট ব্যাংকার ও সাবেক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মোর্শেদুল আলম।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত ইসলামীর আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।

সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এম.কবির আহমদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক মো: মিছবাহুল করিম, কক্সবাজার জেলা জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, আল-আমিন মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আক্তার আহমদ, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি আ.ম.ম মশরুর হোসাইন, আ.ন.ম জুবায়ের,
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, পিএলসি সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ জাফর আলম, চকরিয়া উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আবুল বশর, চকরিয়া পৌরসভা আমীর মুহাম্মদ আরিফুল কবির, পেকুয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিন, মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম, চকরিয়া পেকুয়া উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক, বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা এ.এইচ.এম বদিউল আলম, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জু, ছাত্রশিবির কক্সবাজার জেলা শাখার সেক্রেটারী মীর মুহাম্মদ আবু তালহা, হারবাং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমেদ বাবর, চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদ হোছাইন, বিশিষ্ট সমাজসেবক সরফরাজ আল নেওয়াজ চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, চকরিয়া পেকুয়া আসন জামায়াতে ইসলামীর বিজয়ী আসন। ১৯৯১ সালে বাঘা বাঘা নেতাদের হারিয়ে বিপুল ভোটে জামায়াতের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। এই এলাকার সকল পর্যায়ের মানুষের কাছে ইসলামী আদর্শের দাওয়াত পৌছিয়ে দিতে হবে।

প্রধান বক্তা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, জামায়াতে ইসলামী জন্য রাজনীতি করে না। ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে জামায়াত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, জামায়াতে ইসলামী বর্তমান সময়ে দেশের মানুষের কাছে দূর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে একমাত্র নির্ভরশীল ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সংগঠনের কর্মী ও সূধীমণ্ডলীকে যৌথভাবে এগিয়ে আসতে হবে। কর্মীদেরকে সুখে দুঃখে জনগণের পাশে থেকে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখতে হবে।

এসময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার, রাঙামাটি সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদুদ্দিন ফারুক, আন্তর্জাতিক ইসলামী ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় চট্টগ্রাম এর সাবেক প্রোভিসি ড. মসরুর মাওলা, ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক কফিল উদ্দিন ও অধ্যাপক সরওয়ার আলম, কক্সবাজার জেলা শাখার ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ মুছা ইবনে হোছাইন বিপ্লব, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজ্বী গোলাম মোস্তফা কাইছার, চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সভাপতি লায়ন সানাউল্লাহ, পেকুয়া সমিতি চট্টগ্রামের জয়েন্ট সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম, রেজাউল করিম, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম আলী জিন্নাহ, আনোয়ার হোসাইন, মোহাম্মদ ইসমাঈল, হাফেজ তৌহিদুল ইসলাম, ফরিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।